সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
ভোলার উপকূলবর্তী দ্বীপচরের দেড় লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ঝূঁকিপূর্ণ দুর্গম এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।
এরমধ্যে জেলা সদরে ১০ হাজার, চরফ্যাশনে ৩৫ হাজার, মনপুরা ও তজুমদ্দিনে ৪৫ হাজার এবং লালমোহনে ১৫ হাজার বাসিন্দা রয়েছে। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া দুর্গ চর কুকরি-মুকরি, চর পাতিলা, ঢালচর, চর নিজাম, রামদাসপুর, কলাতলীর চর, চর জহিরউদ্দিন, চর নাসরিন, চর মোজাম্মেলসহ অন্তত ২০ চরের মানুষ এখন নিরাপদে রয়েছেন। বাকিদের নিরাপদে আনার কাজ করছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে, বুলবুলের প্রভাবে জেলায় ১০ নম্বর বিদপ সংকেত জারি করার পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র উপকূলে। রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপিসহ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
ঝড়টি এখন দ্বীপরের কাছাকাছি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলা আবহাওয়া অফিসের অবজারভার মাহাবুব রহমান। তিনি বলেন, ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ঝড়টি। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঝড়টি বর্তমানে পায়রা বন্দর থেকে ৩১৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, দুপুর ২টা পর্যন্ত দেড় লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয়েছে, বাকিদের আনার কাজ চলছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে তাদের খাবার সরবরাহ হচ্ছে। ঝড় মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমাদের ১৩ হাজার সেচ্ছাসেবী মাঠে রয়েছে।